অনেকটা যেন কান টানলে মাথা আসার মতো। ঠান্ডা মাথায় হিসেব করলে দেখা যাবে, প্রিয়-সুব্রতর মানিকজোড়ের সম্পর্ক সময়ের বিচারে দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি।
Memoir
-
-
কলকাতায় থাকাকালীন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার মৌখিক পরিচয় ছিল তবে ওইটুকুই। ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল ৮৫ সালে আমি দিল্লিবাসী হওয়ার পরে। দলের অথবা ট্রেড ইউনিয়নের কাজে
-
নিয়মিত পুজো-আচ্চা করেন না বা গলায় মাদুলি, বাহুবন্ধে তাবিজ, আঙুলের আংটিতে নানাবিধ পাথর ধারণ করেন না, এ রাজ্যের অ-বাম রাজনীতিতে এমন চরিত্র আমি প্রায় দেখিনি বললেই চলে।
-
সোমেন মিত্রর গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর ছেলেপিলেদের প্রবল ক্যালাকেলির ঘটনার পরে সুরেন ঠাকুর রোডে নিজের অফিস ঘরে বসে উত্তেজনায় কাঁপতে কাঁপতে সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রকাশ্যে এই হুমকি দিয়েছিলেন।
-
কেস খেলাম, ক্ষুর খাইনি। তাছাড়া সুব্রতদার স্বভাবটাও ছিল ওই রকম, রেগে গেলে যা মুখে আসে বলে দিতেন, তারপরেই সেই মিষ্টি হাসি।
-
আমি তখন দিল্লিতে কংগ্রেস কভার করি, রোজ বিকেলে নিয়ম করে ২৪ নম্বর আকবর রোডে দলের সদর কার্যালয়ে ঢুঁ মারতে হয়।
-
টেলিফোনের ওপারের গলাটা চিনতে পারছি, কার গলা ঠিক বুঝতে পারছি না। ফুটো তবলার মতো ফ্যাসফেসে আর দারুন উত্তেজিত।